তৃণমূল বিধায়ক এর ছবি সহ দাদার অনুগামী লেখা পোষ্টার : তুমুল কৌতুহল

28th January 2021 10:46 am হুগলী
তৃণমূল বিধায়ক এর ছবি সহ দাদার অনুগামী লেখা পোষ্টার : তুমুল কৌতুহল


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : কোন্নগরের বিভিন্ন জায়গায় বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের ছবি দিয়ে পড়লো দাদার অনুগামী লেখা ব্যানার,রয়েছে গেরুয়া রং।  উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের ছবি দিয়ে দাদার অনুগামী ব্যানার পড়লো তারই বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায়। আজ সকালে কোন্নগর শহরজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের ছবি দিয়ে ব্যানার আর নীচে লেখা দাদার অনুগামী। কিছুদিন আগেই সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল দলের কোর কমিটি ও দলের মুখপাত্র পদ ছাড়ার কথা জানিয়ে দেন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তার পর বিধায়ক এর অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃনমূল কর্মীরা এবং তার নামে ওঠে গদ্দার স্লোগান। বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূল দলের একাংশ। আজ সকালে আবার দেখা যায় কোন্নগর শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের ছবি দিয়ে দাদার অনুগামী ব্যানার পরে গেছে,রয়েছে গেরুয়া রং ।তবে এই ব্যানার পড়ায় উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে  আবার রাজনীতির অন্য সমীকরণ শুরু হলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিধাক প্রবীর ঘোষাল বলেন কে এই ব্যানার লাগিয়েছে তার জানা নেই। উত্তরপাড়ায় ভুমি পুত্র তিনি। অনেক মানুষ তাকে ভাল বাসে। দাদার অনুগামী থাকতেই পারে। ভারতীয় জনতাপাটিতে যোগদান দেবেন কিনা এখনো তিনি কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানান।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।